| |
               

মূল পাতা সারাদেশ জেলা ৮ মডেল মসজিদের বকেয়া বিদ্যুৎ বিল সাড়ে ৪০ লাখ টাকা; দায় নিচ্ছে না জেলা কিংবা উপজেলা প্রশাসন


৮ মডেল মসজিদের বকেয়া বিদ্যুৎ বিল সাড়ে ৪০ লাখ টাকা; দায় নিচ্ছে না জেলা কিংবা উপজেলা প্রশাসন


রহমত নিউজ     08 February, 2025     11:41 AM    


কুমিল্লা জেলা মসজিদসহ ৮টি মডেল মসজিদের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া দাঁড়িয়েছে ৪০ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। বিল পরিশোধে দায়িত্ব নিচ্ছে না জেলা কিংবা উপজেলা প্রশাসন। প্রতিনিয়ত বিদ্যুৎ বিভাগের চাপ সইতে হচ্ছে মসজিদের দায়িত্বরত ব্যক্তিদের। ফাউন্ডেশনের দাবি, মডেল মসজিদ বিশাল কমপ্লেক্স হওয়ায় বৈদ্যুতিক বিল দানের টাকা দিয়ে পরিশোধ করা সম্ভব নয়। তবে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এবং পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তাদের পরামর্শ- ১৬০ কিলোওয়াট থেকে কমিয়ে ৬০ কিলোওয়াট প্রিপেইড সংযোগ নিলে বিল অনেকটাই কমে আসবে।

দানের টাকার ওপর নির্ভরশীল কুমিল্লার আটটি মডেল মসজিদের বকেয়া বিদ্যুৎ বিল সাড়ে ৪০ লাখ টাকা ছাড়িয়েছে। বিপুল অঙ্কের এ বকেয়া বিল নিয়ে সংকটে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। বকেয়া পরিশোধে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চাপ থাকলেও স্থায়ী কোনো সমাধানের উদ্যোগ নেই এখনও।

বকেয়া ৪০ লাখ ৬৪ হাজার টাকার মধ্যে কুমিল্লার দাউদকান্দি মডেল মসজিদেই বিদ্যুৎ বিল জমেছে ১০ লাখ ৯৯০ টাকা। ১৬০ কিলোওয়াট লোডের বিদ্যুৎ সংযোগের ফিসহ প্রতিমাসে এ মসজিদে গড়ে ৪০ হাজার টাকারও বেশি বিল এসেছে।

পরিচ্ছন্নতা ও অন্যান্য ব্যয় মিলিয়ে মাসে খরচের যে অঙ্ক দাঁড়ায়; তা মসজিদে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের দানের টাকায় নির্বাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। প্রতিমাসেই বাড়ছে বকেয়ার পরিমাণ।

দাউদকান্দি মডেল মসজিদের দায়িত্বরত কর্মকর্তা এম এ সাত্তার বলেন, এত লাখ টাকা বাকি, মসজিদের ইনকাম হয় কয় টাকা? একটা মাসে আয় ৫০ প্লাস। কিন্তু এখানে এসে দেখলাম আগের ইঞ্জিনিয়ার ৫৬ হাজার টাকা বাকি রেখে গেছে।’

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য মতে, গেল বছরগুলোতে জেলা মডেল মসজিদসহ মোট ১১টি মডেল মসজিদের উদ্বোধন হলেও নিয়মিত নামাজ শুরু হয়েছে নয়টিতে।

তারমধ্যে দাউদকান্দি, বুড়িচং, নাঙ্গলকোট, চান্দিনা, ব্রাহ্মণপাড়া, দেবীদ্বার ও চৌদ্দগ্রামসহ আটটিতে বকেয়া বিদ্যুৎ বিল ৪০ লাখ ৬৪ হাজার ৩০৬ টাকা।

লোকালয় ও হাট-বাজার থেকে দূরে মসজিদগুলো নির্মাণে মুসল্লির সমাগম কম বলে দানের অর্থের পরিমাণও কম। এছাড়া প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ওয়াটের সাবস্টেশন স্থাপন করায় বিদ্যুতের ব্যয়ও বেশি। ফলেও মসজিদ পরিচালনায় ফাউন্ডেশন থেকে ইমাম, মুয়াজ্জিন মাসিক সম্মানি পেলেও বিদ্যুৎবিলসহ যাবতীয় খরচ মুসল্লির দানের ওপরই নির্ভর বলছেন সহকারী পরিচালক।

কুমিল্লা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক সাহাব উদ্দিন বলেন, দানের টাকাটাই হলো আমাদের ইনকাম আরকি। দানের টাকা যেটা আসে একেবারেই স্বল্প। সেটা দিয়ে আমাদের সংকুলান হয় না। ১১টা মডেল মসজিদে আমাদের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ৪০ লাখ ৬৪ হাজার ৩০৬ টাকা। এটা আমরা হেড অফিসে জানিয়েছে। সরকারের যে নীতিমালা ইনকাম, স্থানীয় ইনকাম এটা দ্বারা আমরা এ টাকা পরিশোধ করতে পারবো না।

অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলের চাপ কমাতে বৈদ্যুতিক সংযোগে লোড কমানোর ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলছেন জেলা প্রশাসক। প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত লোডের বিদ্যুৎ সংযোগেই মডেল মসজিদে বকেয়া বিলের পরিমাণ বাড়ার কারণ বলছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এবং পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।

কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়সার বলেন, মডেল মসজিদের লোকেশন এমন জায়গায় কমার্শিয়ালি ভায়াবল কোনো লোকেশন না। যে কারণে এসব জায়গায় দোকান দেয়ারও সুবিধা নেই। আমরা চেষ্টা করছি মানুষকে অনুরোধ করে বিদ্যুৎ বিলের সমস্যা যতটুুকু কাটানো যায়। এর বাইরে আসলে আর কোনো সমাধান নেই।

উদ্বোধনের বছর পার হলেও জনবল সংকটে নিয়মিত নামাজ শুরু করা যায়নি কুমিল্লার আরও ৮টি মডেল মসজিদে।


এই এলাকার অন্যান্য সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন: চট্টগ্রাম কুমিল্লা কুমিল্লা সদর